ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া। তা নিয়ে এমনতিতেই আতঙ্কিত বাংলার বহু মানুষ। তার মাঝেই এসআইআর নিয়ে সমস্যায় পড়লেন ট্রান্সজেন্ডাররা (Transgenders )। ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম আদৌ তুলতে পারবেন? সেই আশঙ্কায় ভুগছেন রুপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটাররা।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যদি কারোর মা-বাবার নাম থাকে, সেক্ষেত্রে নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই। আর সেটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রুপান্তরকামীদের (Transgenders ) কাছে। কারণ, নিজেদেরকে অন্য লিঙ্গে রুপান্তর করার কারণে এমনিতেই সমাজের কাছে বহু লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন রুপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটাররা। তার মধ্যে অনেকে আগেই বাড়ি ছেড়েছেন। পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন আবার যোগাযোগ নেই অনেকের। ফলে অনেক দরকারি নথি থেকে গিয়েছে বাড়িতেই। ফলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম খুঁজতে যে নথি গুলি দরকার, তা কীভাবে জোগাড় করবেন? তা নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরও খবর : নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে রাস্তার ধারে SIR ফর্ম বিলি, বিতর্কে BLO
ফলে কীভাবে তাঁদের নাম নতুন খসড়া তালিকায় উঠবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন বহু ট্রান্সজেন্ডার (Transgenders)। কেউ কেউ বলেছেন, তাঁদের নিজেদের ঘরবাড়ি নেই। মা-বাবার সঙ্গে তেমন যোগাযোগও নেই। ফলে কীভাবে এসআইআর (SIR)-এর জন্য নথি জোগার করে ফর্ম ফিলাপ করবেন? তা নিয়ে অনেকে আতঙ্কে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অনেকে ২০০২ সালের পর নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন। ফলে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের নাম থাকলেও, বর্তমান নামের সঙ্গে তা মিলছে না। অন্যদিকে যারা অনেক আগেই বাড়ি ছেড়েছেন, তাঁরা কীভাবে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার জন্য এনুমারেশন ফর্ম পাবেন? সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে।
উল্লেখ্য, এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকে আগে থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন বাংলার মানুষ। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকে। সে ভাবেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বহু রুপান্তরকারী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটাররা। অভিভাবকের পরিচয়, ভোটর কার্ডের এপিক নম্বর তাঁরা কোথা থেকে পাবেন? এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে স্বীকৃতি, পরিচয়, অস্তিত্বর জন্য সংগ্রামের মাঝে নতুন লড়াইয়ের মুখে ট্রান্সজেন্ডাররা।
দেখুন অন্য খবর :







